সি পেপটাইড কি এবং মানব দেহে কি অবদান রাখে?

সি পেপটাইড কি এবং মানব দেহে কি অবদান রাখে?

সি পেপটাইড কি

আমাদের শরীরে এমন কিছু জিনিস আছে। যারা শরীরে সরাসরি কোনো উপকার না করলেও পরোক্ষভাবে উপকার করে থাকে। তেমন একটা উপাদান হলো সি পেপটাইড। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের  চিকিৎসা সঠিক পথে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। আমাদের চারপাশে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ক্ষেত্রে শুধু গ্লুকোজ এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু ইনসুলিনের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারি না। সি পেপটাইড সেই অভাবটা পূরণ করতে পারে। কারণ সি পেপটাইড ইনসুলিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে সঠিক চিকিৎসা দিতে সহায়তা করে।

সি-পেপটাইড কী (C-Peptide)

সি পেপটাইড এক ধরনের পলিপেপটাইড প্রোটিন। সি পেপটাইড পানিতে দ্রবণীয়। মানবদেহে ইনসুলিন উৎপাদন এর সময় উদ্বৃত্ত উপাদান হিসেবে তৈরি হয়ে থাকে। এর শরীরে কোন ভালো বা খারাপ অবদান নেই। প্রত্যেকবার ১ টি ইনসুলিন উৎপন্ন হলে ১ টি করে সি পেপটাইড উৎপন্ন হয় উদ্বৃত্ত হিসেবে। ইনসুলিনের সাথে এক‌ই সাথে রক্তে বিচরণ করে থাকে। ইনসুলিনের চেয়ে বেশি সময় ধরে রক্ত উপস্থিত থাকে। যার কারণে ইনসুলিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।

উৎপত্তি স্থল

সি পেপটাইড ইনসুলিনের মতোই অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপন্ন হয়।

স্বাভাবিক মাত্রা

  • উপবাস অবস্থার রক্তে  :- ০.৫ - ২.০ ng/ml বা 0.১৭ - ০.৬৬ nmol/L
  • উদ্দীপিত অবস্থার রক্তে :- ১.০ - ৩.০ ng/ml
  • প্রস্রাবে :- ০.৩ - ২.৭ mg/day

বিশেষ দ্রষ্টব্য : বিভিন্ন ল্যাব অনুযায়ী স্বাভাবিক সীমার মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে।

ইনসুলিনের নির্দেশক

ইনসুলিন আমাদের রক্তের মধ্যে খুব কম সময়ের জন্য উপস্থিত থাকে, মাত্র পাঁচ থেকে দশ মিনিটের  জন্য। তারপর ও এই ইনসুলিন রক্তে আসার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তাই ইনসুলিনির উপস্থিতি নিশ্চিত করার পদ্ধতি গুলো অনিশ্চয়তার। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে ইনসুলিনের সাথে উদ্বৃত্ত হিসেবে সি পেপটাইড উৎপন্ন হয় । ঠিক একটা ইনসুলিনের সাথে একটা সি পেপটাইড বেশিও না কম‌ও না। অপরপক্ষে সি পেপটাইড রক্তে উপস্থিত থাকে ইনসুলিনের চেয়ে বেশি সময় ধরে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট। যার জন্য সি পেপটাইড পরীক্ষা সবচেয়ে কার্যকর ও নিশ্চিত পরীক্ষা। সি পেপটাইড রক্তে বেশিক্ষণ থাকায় পরীক্ষা করাটাও সহজ হয়। সি পেপটাইড থাকা মানেই রক্তে ইনসুলিন উপস্থিত থাকা। অন্য কোনো উপায়ে সি পেপটাইড তৈরি হয় না। একমাত্র ইনসুলিন উৎপন্ন হলেই সি পেপটাইড  পাওয়া যাবে তাছাড়া পাওয়া যাবে না রক্তে। তাই সি পেপটাইড কে ইনসুলিনের নির্দেশক বা নিশ্চিত পরীক্ষা বলা হয়।

সি পেপটাইড তৈরির ধাপ

সি পেপটাইড প্রধানত ২ টি ধাপে প্রস্তুত হয়। যথা :-

প্রো ইনসুলিন

অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের অমসৃন এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামে এ, বি ও সি নামক ৩ টি চেইন একত্রিত হয়ে প্রোইনসুলিন তৈরি করে। এ চেইনে ২১ টি, বি চেইনে ৩০ টি ও সি চেইনে ৩১ টি অ্যামাইনো এসিড থাকে।

প্রো ইনসুলিন থেকে সি পেপটাইড

অমসৃন এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম থেকে প্রো ইনসুলিন গলজি বডিতে স্থানান্তর হলে প্রো হরমোন কনভারটেজ ও কার্বোক্সিপেপটাইডেজ ই নামক দুইটি এনজাইম নিঃসৃত করে। এই ২ টা এনজাইম প্রো ইনসুলিন থেকে সি চেইনকে আলাদা করে ফেলে। পরে সি চেইন কে সি পেপটাইড এ রূপান্তরিত করে থাকে।

প্রকারভেদ

সি পেপটাইডের রাসায়নিক গঠন সব জায়গাতেই এক‌ই। কিন্তু অবস্থান ও পরীক্ষা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে ভাগ করা যায়।

অবস্থানের উপর ভিত্তি ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :-

রক্তরসের সি পেপটাইড ( Serum c peptide)

এই পরীক্ষাতে রক্তরসের সি পেপটাইড নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এটা সবচেয়ে সহজ ও বহুল প্রচলিত পরীক্ষা।

এই পরীক্ষা কে আবার রক্ত দেবার সময় এর ভিত্তিতে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :-

উপবাস অবস্থার সি পেপটাইড ( Fasting c peptide)

সাধারণত দশ থেকে বার ঘন্টা না খেয়ে রক্ত নিয়ে এই পরীক্ষাটা করা হয়। টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য এই পরীক্ষাটা করা হয়।

উদ্দীপিত অবস্থার সি পেপটাইড ( Stimulated c peptide)

নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্ল গ্লুকোজ খেয়ে বা সকালের নাস্তা খাওয়ার পর রক্ত নিয়ে এই পরীক্ষা টি করা হয়। কিছু খেলে সাধারণত তো অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ উদ্দীপিত হয়ে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন নিঃসৃত হলে সাথে সাথে সি পেপটাইড নিঃসৃত হয়। এই নিঃসৃত সি পেপটাইড টা পরিমাপ করার জন্য এই পরীক্ষাটা করা হয়। অগ্ন্যাশয় ঠিক ভাবে উদ্দীপিত হচ্ছে কিনা জানা যায়।

প্রস্রাবের সি পেপটাইড ( Urine c peptide)

সাধারণত এই পদ্ধতি টা খুব কম পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। রুগী অচল বা রক্ত দিতে অক্ষম হলে এই পদ্ধতিতে পরিমাপ করা হয়। সাধারণত ১ দিনের বা ২৪ ঘন্টার বিভিন্ন সময়ের প্রস্রাব সংগ্রহ করে সি পেপটাইড পরিমাপ করা হয়।

ফলাফলের মাত্রার ভিত্তিতে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :-

স্বাভাবিক ( ০.৫ - ২.০ ng/ml)

এর মানে অগ্ন্যাশয় থেকে সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন ও সি পেপটাইড তৈরি হচ্ছে।

নিম্ন মাত্রা ( ০.৫ ng/ml এর চেয়ে কম)

টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলে, ইনসুলিন ইনজেকশন নিলে, কোন কারণে বিটা কোষ ধ্বংস হয়ে গেলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় সংগে সি পেপটাইড ও কমে যায়।

উচ্চ মাত্রা ( ২.০ ng/ml এর চেয়ে বেশি)

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হলে, ইনসুলিনোমা হলে, কিডনির সমস্যা থাকলে রক্তের ইনসুলিন বেড়ে যায় ফলে সি পেপটাইড বেড়ে যায়।

পরীক্ষার কারণ

সি পেপটাইড পরীক্ষা করার কারণ সমূহ নিচে দেওয়া হলো :-

পার্থক্য করা

ডায়াবেটিসের প্রধান ২ ভাগ টাইপ ১ ও টাইপ ২ এর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য।

বিটা কোষ

অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের অবস্থা জানার জন্য।

টিউমার শনাক্ত

ইনসুলিনোমা শনাক্ত করার জন্য।

ইনসুলিন এর নিশ্চয়তা

ইনসুলিন ইনজেকশন নেয়া ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য।

ফলাফলের ভিন্নতার কারণ

সি পেপটাইডের পরীক্ষার ফলাফল সব সময় এক রকম হয় না। একেক সময়ে একেক রকম হতে পারে। তাই পরিস্থিতি, সময় এর উপর নির্ভর করে ফলাফলের পরিবর্তন হতে পারে। ফলাফল বিভিন্ন রকম আসার কারণ সমূহ নিচে দেয়া হলো :-

শারীরিক কারণ

খাবারের আগে বা পরে, বিভিন্ন প্রকারের খাবার, মানসিক চাপ, শরীরে ওষুধের প্রভাব, বয়স, লিঙ্গতার ভিন্নতা, কোনো রকমের সংক্রমন থাকলে ফলাফল বিভিন্ন রকম হতে পারে।

রোগের কারণ

অগ্ন্যাশয়ের রোগ, পাকস্থলীর রোগ, হরমোনের অসাম্যন্জসতা, লিভারের রোগ, কিডনীর রোগ থাকলে ফলাফলের পরিবর্তন হতে পারে।

ইনসুলিনের অবস্থা

শরীরে ইনসুলিনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর সি পেপটাইডের ফলাফল নির্ভর করে। যেমন :- শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারলে ইনসুলিনের সম পরিমাণ সি পেপটাইড শরীরে উপস্থিত থাকে। অপরদিকে বাইরের থেকে ইনসুলিন শরীরের ভিতরে প্রবেশ করালে শরীরে সি পেপটাইডের পরিমাণ কমে যায়।

পরীক্ষা পদ্ধতি বা স্থান

সি পেপটাইড পরীক্ষা করার বিভিন্ন ল্যাবরেটরী ও তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা পদ্বতির উপর নির্ভর করে ফলাফলের পরিবর্তন হতে পারে। আবার ফলাফল এক হলেও বিভিন্ন ল্যাবরেটরীর ফলাফলের সীমার পার্থক্যর জন্য ভিন্ন হতে পারে। যেমন :- একটি ফলাফল এক ল্যাবরেটরীর জন্য স্বাভাবিক থাকলেও অন্য ল্যাবরেটরীরে সেই একই ফলাফল অস্বাভাবিক হতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা

প্রয়োজনের বাইরে অন্য কোন রোগের জন্য করলে সেই রোগের ক্ষেত্রে ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পরীক্ষা

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন তথ্যের ভিত্তিতে নিজে নিজে পরীক্ষা করে রোগের ব্যখ্যা করতে গেলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।

সি পেপটাইড ও ইনসুলিনের মধ্যে পার্থক্য

পরিচয়

  • সি পেপটাইড একটা প্রোটিন।
  • ইনসুলিন এক ধরনের হরমোন।

অ্যামাইনো এসিড

  • সি পেপটাইডে ৩১ টি অ্যামাইনো এসিড থাকে।
  • ইনসুলিন ৫১ টি অ্যামাইনো এসিড সমন্বয়ে গঠিত।

চেইন সংখ্যা

  • সি পেপটাইড একক পলিপেপটাইড।
  • ইনসুলিন এ ও বি দুইটা চেইনের সমন্বয়ে গঠিত। এ চেইনে ২১ টি ও বি চেইনে ৩১ টি অ্যামাইনো এসিড থাকে এবং এই দুইটি চেইন সালফাইডের ডাবল বন্ডিং দ্বারা যুক্ত থাকে।

উৎপন্নের কারণ

  • সি পেপটাইড শরীরের কোন প্রয়োজনে নয় বরং ইনসুলিন উৎপন্ন এর সময় তৈরি হয়।
  • ইনসুলিন খাবারের চাহিদা মাফিক তৈরি হয়।

স্থায়িত্ব

  • সি পেপটাইড রক্তে তুলনামূলক ভাবে বেশি সময় অর্থাৎ ২৫ - ৩০ মিনিট থাকে।
  • ইনসুলিন রক্তে অনেক কম সময় উপস্থিত থাকে মাত্র ৫-৭ মিনিট।

কাজ

  • সি পেপটাইডের শরীরে কোন কাজ নাই ইনসুলিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ছাড়া।
  • ইনসুলিন প্রধান বিপাকীয় হরমোন। শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন করা এর প্রধান কাজ।

রোগ

  • সি পেপটাইড কম বা বেশি হলে কোন রোগ হয় না।
  • ইনসুলিনের পরিমাণ কম বা বেশি হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাইপারগ্লাইসেমিয়া অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে।

সি পেপটাইডের মাত্রা কম বা বেশি হবার কারণ

সি পেপটাড নিজে থেকে শরীরে কোন রোগ তৈরি করে না। অর্থাৎ শরীরে সি পেপটাইডের মাত্রা কম বা বেশি হলে শরীরে রোগ তৈরি হয় না। তবে এর মাত্রা  কম বা বেশি হল কিছু রোগ নির্দেশ করে। নিচে দেওয়া হলো :-

সি পেপটাইডের মানব দেহে অবদান

টাইপ ১ ডায়াবেটিস

টাইপ ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী বলতে যাদের অগ্ন্যাশয়ের বিটা সেল ধ্বংস হবার ফলে একেবারে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না তাদের বোঝায়। এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে  ইনসুলিন না থাকার কারণে রক্তে সি পেপটাইড ও পাওয়া যায় না।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস

টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী বলতে তাদের বোঝায় যাদের ইনসুলিন উৎপন্ন হয় কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় শরীরের গ্লুকোজের চাপ সামলানোর মতো বা থাকলেও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়। এইসব রোগীদের রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে বা তার চেয়ে বেশি সি পেপটাইড পাওয়া যায়।

অগ্ন্যাশয় টিউমার

ইনসুলিনোমা অগ্ন্যাশয়ের এক বিরল টিউমার। এই রোগ হলে মানুষের রক্তে  ইনসুলিন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তে সি পেপটাইড ও বেশি পাওয়া যায়।

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ (Pancreatitis)

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হলে রক্তে সি পেপটাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে যায়।

কিডনির সমস্যা

কিডনি নিয়মিত সি পেপটাইড প্রসাবের মাধ্যমে বের করে দিতে না পারলে রক্তে অতিরিক্ত সি পেপটাইড জমে যেতে পারে। এতে রক্তে সি পেপটাইডের পরিমাণ বেশি  দেখায়, ইনসুলিনের উৎপাদন কম বা স্বাভাবিক হলেও।

সি পেপটাইড এর অভাবে কোন রোগ হয়?

সি পেপটাইড এর অভাবে বা বেশি হলে কোনো রোগ হয় না। একে ইনসুলিন সঙ্গি বলা চলে। সি পেপটাইড পরীক্ষা  করার মাধ্যমে ইনসুলিনের উপস্থিতি দেখা হয়।

ডায়াবেটিসের প্রকৃত কারণ জানতে রক্তে ইনসুলিনের উপস্থিতি কিভাবে নিশ্চিত করা হয়?

আমরা প্রচলিত পদ্ধতিতে সকালে খাবার খাওয়ার আগে বা পরে যে পরীক্ষাটি করে থাকি তার মাধ্যমে আমরা রক্তে গ্লুকোজের উপস্থিতি বা পরিমাণ বুঝতে পারি। কিন্তু   ইনসুলিনের উপস্থিতি বা পরিমাণ জানতে পারি না। ইনসুলিনের উপস্থিতি বা পরিমাণ জানার নিশ্চিত পরীক্ষা হচ্ছে সি পেপটাইড পরীক্ষা।

উপসংহার

সি পেপটাইড কে ডায়াবেটিস ক্ষেত্রে বহুল প্রচলন করলে  চিকিৎসা আরো সুনির্দিষ্ট পথে এগোতে পারে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় ইনসুলিন ঠিক‌ই উৎপন্ন হচ্ছে তারপরও অতিরিক্ত ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। অথচ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের চিকিৎসা করলেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url