গলা ব্যথা কেন হয়? এর কারণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা।

 

গলা ব্যথার লক্ষণ

গলা ব্যথা মানে যে সব সময় এটি সাধারণ ঠান্ডা, তা নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে। এটি ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কিংবা অন্য কোন কারণেও হতে পারে। এই পোস্টে থাকছে গলা ব্যথা সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য।

গলা ব্যথা (Sore Throat)

কথা বলার সময়, খাবার গিলার সময় বা নিঃশ্বাস নেবার  সময় গলাতে যে কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হ‌ওয়াকেই গলা ব্যথা বলে। শুধু মাত্র ব্যথা হতে পারে অথবা এর সাথে জ্বর, সর্দি, কাশি, টনসিলের সমস্যা বা গলার স্বর ভেঙে যাওয়াও যুক্ত হতে পারে।

প্রকারভেদ

গলা ব্যথার ধরণকে ৩ প্রকৃতিতে ভাগ করা যায়। যথা :-

মৃদু ব্যথা

সাধারণত সর্দি, জ্বর থাকলে এই ধরনের হালকা ব্যথা অনুভূত হয়।

মাঝারি ব্যথা

গলার কোথাও অল্প সংক্রমণ হলে এই ধরনের ব্যথা অনুভূত হয়।

তীব্র ব্যথা

টনসিলের যে কোন সমস্যা (টনসিল ফুলে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বা পুজ জমলে), গলার কোথাও পুঁজ জমে গেলে গলাতে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়।

গলায় যা থাকে

গলায় যেসব অঙ্গ থাকে। সেগুলো নিচে দেয়া হলো :-

উপজিহ্বা (epiglottis)

শ্বাসনালীর দরজা হিসেবে কাজ করে। খাবার শ্বাসনালীতে না ঢুকে যেনো খাদ্যনালীতে যেতে পারে সেই দিকটা নিয়ন্ত্রণ করে।

স্বরযন্ত্র (Vocal cords)

মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করার জাদুর বাক্স এটি। এর মাধ্যমে মানুষ কথা বলতে পারে। কথা বলার প্রধান অংশ এটি।

শ্বাস নালী (Trachea)

এর মাধ্যমে বাতাস বাইরের পরিবেশ থেকে নাক ও মুখের মধ্যে দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে থাকে। শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

খাদ্যনালী (Esophagus)

এর মাধ্যমে খাবার মুখগহ্বর থেকে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে থাকে।

হাড়

গলার শক্ত কাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে।

পেশি

গলার নড়াচড়া, খাদ্য গ্ৰহণ, কাঠামো তৈরিতে সাহায্য করে থাকে।

তরুনাস্থি

গলার কাঠামো তৈরি ও কথা বলতে সাহায্য করে থাকে।

লক্ষণ

গলা ব্যথার লক্ষণসমূহ নিচে দেওয়া হলো :-

  • খাবার গেলার সময় ব্যথা অনুভূত হয়।
  • পানি বা লালা গিলতে কষ্ট হয়।
  • গলার ভিতরে শুকিয়ে যায়।
  • গলার ভিতরের অংশ লালচে দেখায়।
  • গলার আওয়াজ ভেঙে যায়
  • স্বর ভারী হয়ে যায়।
  • কথা বলতে কষ্ট হয়।
  • টনসিল ফুলে যেতে দেখা যায়।
  • গলার বাইরের অংশে চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হয়।
  • গলার গ্ৰন্থিসমূহ ফুলে যায়।
  • শরীরে জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়।
  • শুকনো,খুসখুসে অথবা কফসহ কাশি হতে দেখা যায়।
  • মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ আসে।

কারণ

গলা ব্যথার অনেক ধরনের কারণ হতে পারে। নিচে দেয়া হলো :-

আঘাত

গলার ভিতরের বা বাইরের কোন কারণে আঘাত পেলে গলা ব্যথা হতে পারে।

ভিতরের কারণ 

মাছের কাঁটা, মাংসের হাড্ডি বা অন্য কোন খাবার আটকে যাবার জন্য ব্যথা হতে পারে।

বাইরের কারণ 

মারামারি সময় বা অন্য কোন কারণে আঘাত পেলে ব্যথা হতে পারে।

ভাইরাস

গলার ব্যথা বিভিন্ন রকম ভাইরাস আক্রমণের ফলে হতে পারে। যথা :-

  • সাধারণ ঠাণ্ডা (Common cold)
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza)( সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে)
  • করোনাভাইরাস (COVID-19)
  • ক্যান্সার উদ্দীপক ভাইরাস (EBV)
  • হাম (Measles)
  • জলবসন্ত (Chickenpox)

ব্যাকটেরিয়া

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা হতে পারে।

যেমন :- Streptococcus pyogens ব্যাকটেরিয়া

টনসিল

টনসিলে সংক্রমণ হলে, ফুলে গেলে বা পুঁজ জমে গেলে গলায় ব্যথা হতে পারে।

এলার্জি

কারো কোনো কিছুতে এলার্জি থাকলে যেমন :- ফুলের রেণু, ধুলা, খাবার ইত্যাদি সহ অন্য কোন কারণে এলার্জি হলে গলায় চুলকানি বা ব্যথা হতে পারে।

ক্যান্সার

মুখ গহ্বর ও গলার কোন ধরনের ক্যান্সার হলে গলায় ব্যথা হতে পারে।

অতিরিক্ত ব্যবহার

গলার অতিরিক্ত ব্যবহার হলে গলায় ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যবহারের কিছু উদাহরণ হলো :- অতিরিক্ত কথা বলা, জোড়ে চিল্লানো, গান গাওয়া।

এসিডের বিপরীত প্রবাহ (GERD)

পেটের এসিড বিপরীত দিকে প্রবাহিত হবার ফলে গলার টিস্যু ক্ষতিগ্ৰস্থ হলে গলা ব্যথা হতে পারে।

ধূমপান

ধূমপানের ধোঁয়ার ফলে গলায় ব্যথা ও পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।

মদ্যপান

মদ বা এলকোহল পান করার ফলে গলার টিস্যু ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়ে ব্যথা হতে পারে।

স্থায়িত্ব

গলা ব্যথার স্থায়িত্ব নির্ভর করে কারণের উপর। কারণের উপর নির্ভর করে ২ দিন থেকে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ব্যথার স্থায়িত্ব হতে পারে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো :-

ভাইরাস

ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকলে তা ৩ দিন থেকে ৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ি হতে পারে। ভাইরাসের কারণে হলে সাধারণত কোন ওষুধ খাওয়া লাগে না একা একাই সেরে যায়।

ব্যাকটেরিয়া

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে গলা ব্যথা হলে তা সাধারণত ৭ দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ি হয়। সাধারণত এন্টিবায়োটিক খেলেই দ্রুত সেরে যায়।

আঘাত

আঘাত জনিত কারণে ব্যথা হলে ব্যথার কারণ সরানোর  পর ৫ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে।

অতিরিক্ত চিল্লানো

অতিরিক্ত চিল্লানোর কারণে ব্যথা হলে তা সাধারণত ২ দিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ি হয়।

গান গাওয়া

গান গাওয়া ধরণের পেশার সাথে যুক্ত থাকলে যে ব্যথা হয় তা সাধারণত ৭ দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ি হয়।

এলার্জি

এলার্জির কারণে ব্যথা হলে তা সাধারণত দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ি হয়ে থাকে।

ঘরোয়া চিকিৎসা

গলা ব্যথার কারণ যদি জটিল কোন বিষয় না হয়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসাতেই সমাধান হয়ে যায়। তাই মনোযোগ সহকারে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মানা উচিত। যথা :-

কুলি করা

হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলি করা। প্রয়োজনে মাউথ‌ওয়াস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এলার্জির সমস্যা থাকলে না ব্যবহার করাই উচিত।

গলা ব্যথার চিকিৎসা।

গার্গল করা

এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে দিনে রাতে ১০ থেকে ১২ বার করে গার্গল করা। বেশি লবণ দেয়া উচিত না এতে গলার আবরণ ছিড়ে যেতে পারে।

আদা

আদা গলার প্রদাহ কমাতে পারে। তাই কাচা আদা চুষে খেতে হবে। অথবা চাইলে স্বাদমতো চিনিছাড়া আদা চা খাওয়া যেতে পারে।

লেবু চা

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি সর্দি, কাশি,জ্বর কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই চিনি ছাড়া লেবু চা খাওয়া যেতে পারে।

গরম মসলা, তেজপাতার বাষ্প

পানিতে গরম মসলা,তেজপাতা দিয়ে তাপ দিয়ে ফুটানো। ফুটলে যে বাষ্প তৈরি হয় তা নাক ও মুখ দিয়ে নেয়া।এতে খাদ্যনালি ও শ্বাসনালী পরি ষ্কার হয়। গলায় আরাম বোধ হয়।

মেনথলের ভাপ

গরম পানিতে মেনথল রেখে তার ভাপ নিলে অনেক সময় গলা ব্যথা কমে যায়।

তরল খাবার

তরল খিচুরি,স্যুপ খাওয়া। এতে গলার উপর চাপ কম পড়ে।

পানি খাওয়া

বেশি বেশি পরিমাণে পানি পান করা।

কথা কম বলা

গলা ব্যথা হলে কথা বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা। একেবারে দরকার না হলে কথা বলা উচিত না।

এসিডের প্রবাহ কমানো

পেটের সমস্যা থাকলে এন্টি আলসার ওষুধ খাওয়া। জিইআরডি এর ওষুধ খেয়ে এসিডের বিপরীত প্রবাহ বন্ধ করা।

চিকিৎসা

গলা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেজন্য গলা ব্যথার চিকিৎসা করা হয় কখরণ অনুযায়ী। যেমন :-

জ্বরের চিকিৎসা

শরীরে জ্বর ছাড়া আর কোনো লক্ষণ না থাকলে জ্বরের ওষুধ খাওয়া। যেমন :- প্যারাসিটামল

ব্যথার চিকিৎসা

হালকা গলা ব্যথা থাকলে এবং অন্যান্য কোনো লক্ষণ না থাকলে ব্যথার ওষুধ খাওয়া। যেমন :- আইবুপ্রোফেন ও প্যারাসিটামল।

ব্যাকটেরিয়া

ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে সংক্রমিত হয়ে ব্যথা হলে এন্টিবায়োটিক গ্ৰহণ করা উচিত। যেমন :- এমোক্সিসিলিন ও এজিথ্রোমাইসিন।

এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ভাইরাস

ভাইরাসের আক্রমণের কারণে গলায় ব্যথা হলে ঘরোয়া চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই কয়েকদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

এলার্জির চিকিৎসা

এলার্জি জনিত কারণে গলা ব্যথা হলে এলার্জির ওষুধ খাওয়া দরকার। যেমন :- এলাট্রল, সেট্রিজিন

পেটের সমস্যার সমাধান

পেটের সমস্যার কারণে গলায় ব্যথা হলে পেটের সমস্যার  ওষুধ খাওয়া। যেমন :- ডমপেরিডন, ওমিপ্রাজল, এন্টাসিড।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত গলা ব্যথা চেনার উপায়

ভাইরাস  ও ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে গলা ব্যথা হলে নিম্নলিখিত উপায়গুলোর মাধ্যমে চেনা যায়। যথা :-

ব্যথার ধরণ

ভাইরাস :- মাঝারি ব্যথা হয়ে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া :- তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।

জ্বর

ভাইরাস :- ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম।

ব্যাকটেরিয়া :- ৩৮ ডিগ্রি  সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি।

কাশি, হাচি

ভাইরাস :- থাকে।

ব্যাকটেরিয়া :- থাকে না।

সর্দি

ভাইরাস :- থাকে।

ব্যাকটেরিয়া :- থাকে না।

চোখ লাল হওয়া

ভাইরাস :- চোখ লাল হয়।

ব্যাকটেরিয়া :- সাধারণত চোখ লাল হয় না

মুখে দুর্গন্ধ

ভাইরাস :- থাকে না

ব্যাকটেরিয়া :- থাকতে পারে।

সংক্রমণ

ভাইরাস :- ব্যাপক সংক্রমণ দেখা যায় না।

ব্যাকটেরিয়া :- অনেক সংক্রমণ করে থাকে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।

রোগ নির্ণয়ক পরীক্ষা

ভাইরাস :- প্রয়োজন পড়ে না।

ব্যাকটেরিয়া :-  সাধারণত গলার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে হয়।

চিকিৎসা

ভাইরাস :- বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। ঘরোয়া চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়।

ব্যাকটেরিয়া :- চিহ্নিত রোগ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়।

বর্জণীয়

গলা ব্যথা হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বর্জন করা উচিত। যথা :-

  • ঠান্ডা খাবার
  • অতিরিক্ত গরম খাবার
  • ঠান্ডা পানীয়
  • মশলাযুক্ত খাবার
  • চিনিযুক্ত খাবার
  • ঝাল খাবার
  • তৈলাক্ত খাবার
  • এসিডীয় টক খাবার
  • শক্ত খাবার
  • ধূমপান
  • এলকোহল জাতীয় পানীয়
  • জোরে চিৎকার
  • গান গাওয়া

সচেতনতা

রোগ হবার পুর্বেই কিছু পদক্ষেপ নিলে গলা ব্যথা হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। যথা :-

  • সব সময় বাইরে থেকে বাসা আসলে হাত ধোয়া।
  • নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করা।
  • বাসার বাইরে সব সময় মাস্ক পরিধান করা।
  • জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলা।
  • অন্যের ব্যবহার্য জিনিসপত্র এড়িয়ে চলা।
  • পানির খাবার পুর্বে গ্লাস ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা।
  • খাবার প্লেট ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নেয়া।
  • পরিধেয় কাপড় চোপড় ভালোভাবে ধৌত করা।
  • এলকোহল বর্জন করা।
  • ধূমপান না করা।
  • প্রচুর পানি পান করা।
  • অত্যাধিক ঠান্ডা খাবার বা পানীয় না খাওয়া।
  • অত্যাধিক গরম খাবার বা পানীয় না খাওয়া।
  • পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া।
  • দীর্ঘ ক্ষণ জোরে চিৎকার না করা।
  • জোরে চিৎকার করে গান না খাওয়া।
  • পেটের সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা।
  • যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা।
  • নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ ঘুমানো, অনিদ্রার সমস্যা  থাকলে সমাধান করা।
  • ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

নিম্নলিখিত উপসর্গ গুলো দেখা গেলে দেরী না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হ‌ওয়া উচিত। যথা :-

  • গলা ব্যথা ১০ দিনের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হলে।
  • জ্বরের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে।
  • ঢোক গিলতে কষ্ট হলে
  • গলা দিয়ে রক্ত আসলে।
  • গলা দিয়ে পুঁজ উঠলে।
  • নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলে।
  • টনসিল ফুলে গেলে
  • অল্পস্থায়ী ব্যথা বার বার দেখা দিলে।
  • শিশুদের গলা ব্যথা হলে।
  • কানে কোনো রকম অস্বাভাবিকতা অনুভূত হলে।

উপসংহার

গলা ব্যথা সাধারণ মনে হলেও অবহেলা করা উচিত নয়।এই ব্যথা হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে কারণ জেনে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। দ্রুত চিকিৎসা নিলে সহজেই সুস্থ হ‌ওয়া সম্ভব।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url