নিম্ন রক্তচাপ কেন হয়? লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার জানুন বিস্তারিতভাবে
নিম্ন রক্তচাপ কেন হয়? লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার জানুন বিস্তারিতভাবে
ভূমিকা
আপনি কি প্রায়শই দুর্বলতা, মাথা ঘোরা কিংবা অস্বস্তি অনুভব করেন? হতে পারে আপনি ভুগছেন নিম্ন রক্তচাপে! আমরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে চিন্তিত থাকি বেশি, কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসারও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।সময়মতো চিহ্নিত না করলে এটি মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিশ্লেষণ করব কেন এই সমস্যা হয়, কীভাবে তা চিহ্নিত করবেন এবং কীভাবে ঘরে বসেই সমাধান নিতে পারেন।
কি
নিম্ন রক্তচাপ হলো এমন একটি অবস্থা যখন ধমনীর দেয়ালে রক্তের চাপ খুব কম থাকে। এই অবস্থাকে হাইপোটেনশনও বলা হয়। সাধারণত, রক্তচাপ মিলিমিটার পারদ (mm
Hg) সূচকে পরিমাপ করা হয়। ৯০/৬০ mm Hg এর চেয়ে কম হলে তা নিম্ন রক্তচাপ বলে ধরা হয়।তবে সবার নিম্ন রক্তচাপের পরিমাপ এক নয়। একজনের জন্য যা নিম্ন রক্তচাপ, অন্য কারো জন্য তা স্বাভাবিক মাপ।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
বয়স্করা
বয়স্কদের দাঁড়িয়ে থাকলে বা খাওয়ার পরে রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি ।শিশু ও তরুন
শিশু ও তরুনদের মাঝে স্নায়বিকভাবে মধ্যস্থতাকারী হাইপোটেনশন হতে বেশি দেখা যায়।উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ
উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ গ্ৰহনকারীদের মধ্যে নিম্ন রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়।রোগাক্রান্ত
পার্কিনসন রোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু হৃদরোগ আক্রান্ত দের মধ্যে নিম্ন রক্তচাপের হবার প্রবণতা দেখা যায়।অ্যালকোহল
অ্যালকোহল পানকারীরা নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকিতে বেশি থাকে।পুষ্টিহীনতা
অপুষ্টিতে ভোগাদের মধ্যে নিম্ন রক্তচাপ হবার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।ধরন
অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন/ পোশ্চুরাল হাইপোটেনশন
বসা বা শুয়ে থাকার পরে হঠাৎ দাঁড়ানোর সময় রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং তিন মিনিটের বেশি সময় ধরে কম থাকার অবস্থাকে অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন বলে।অবস্থান পরিবর্তন করলে রক্তচাপ অল্প সময়ের জন্য কমে যাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু বেশিক্ষণের জন্য নয়। (উপরের) চাপ ২০ মিমি এইচজি (mm Hg) বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক (নীচের) চাপ ১০ মিমি এইচজি (mm Hg) বা তার বেশি কমে যাওয়া। এই নিম্ন রক্তচাপ বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আনুমানিক ৩০% লোকের পোশ্চুরাল হাইপোটেনশন রয়েছে।
পোস্টপ্রানডিনাল হাইপোটেনশন/ খাবারের পরের নিম্ন রক্তচাপ
খাওয়ার ১ থেকে ২ ঘন্টা পরে রক্তচাপ কমে যাওয়া। প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে ঘটে। পাকস্থলী এবং অন্ত্রের নালীতে রক্ত বেশি সক্রিয় থাকার কারণে হয় বলে মনে করা হয়। এই ধরনের নিম্ন রক্তচাপ বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
নিউরালি মেডিয়েটেড হাইপোটেনশন/ স্নায়বিকভাবে মধ্যস্থতাকারী নিম্ন রক্তচাপ
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর রক্তচাপ কমে যাওয়া।মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ডের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যার কারণে এটি ঘটে বলে মনে করা হয়। এই ধরণের নিম্ন রক্তচাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরুণ ও শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনের সাথে একাধিক সিস্টেম অ্যাট্রোফি
এইটা বিরল অবস্থা। সাধারণত শুয়ে থাকার সময় রক্তচাপ কমে যায়। এতে অনিচ্ছাকৃত স্নায়ুতন্ত্র জড়িত, যা রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃদস্পন্দনের মতো বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণের সাথে জড়িত। এটিকে শাই-ড্রেজার সিনড্রোমও বলা হয়।
কারণ
নিম্ন রক্তচাপের কারণসমূহ নীচে দেয়া হলো:গর্ভাবস্থা
সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম 24 সপ্তাহে নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয়। কারন এই সময় রক্তনালীগুলি দ্রুত প্রসারিত হয়।
হৃদপিণ্ড এবং হার্টের ভালভের অবস্থা
হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, হার্টের ভালভের রোগ এবং ব্র্যাডিকার্ডিয়া নামক রোগের ফলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।
হরমোন-সম্পর্কিত রোগ
অ্যাডিসন'স রোগ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে রক্তচাপ কমতে পারে।
পানিশূন্যতা
শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে, শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। বমি, ডায়রিয়া, অথবা জ্বর হলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যেতে পারে। এর ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
রক্তক্ষয়
প্রচুর রক্তক্ষরণ রক্তের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তচাপ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
গুরুতর সংক্রমণ
যখন শরীরে রক্তপ্রবাহে কোনও সংক্রমণ প্রবেশ করে, তখন এটি রক্তচাপের প্রাণঘাতী হ্রাস ঘটায় যাকে সেপটিক শক বলে।
অ্যানাফাইল্যাক্সিস/তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার ফলে রক্তচাপ হঠাৎ অনেক কমে যেতে পারে।
পুষ্টিহীনতা
ভিটামিন বি-১২ ও আয়রনের অভাব হলে শরীর পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না। রক্তাল্পতা দেখা দেয় । ফলে নিম্ন রক্তচাপের সৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের রোগ
পার্কিনসন রোগের মতো অবস্থায় খাওয়ার পরে নিম্ন রক্তচাপ হয় কারণ পাচনতন্ত্র খাবার হজম করার সময় বেশি রক্ত ব্যবহার করে।
ফুসফুসের রোগ
ফুসফুসের রোগ যেমন : পালমোনারি এমবলিজম বা কলাপসড ফুসফুসের এর মতো সমস্যা থাকলে নিম্ন রক্তচাপ দেখা যায়।
থাইরয়েডের রোগ
থাইরয়েডের রোগ থাকলে নিম্ন রক্তচাপ দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু কারণ
- রক্তনালীগুলির প্রশস্ততা বা প্রসারণ
- তাপ ক্লান্তি বা হিট স্ট্রোক
- লিভারের রোগ
কিছু ওষুধ রক্তচাপ কমাতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
সমস্ত রক্তচাপের ওষুধ
মূত্রবর্ধক - ফুরোসেমাইড, হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড
আলফা ব্লকার - প্রাজোসিন
বিটা ব্লকার - অ্যাটেনোলল, প্রোপ্রানোলল
পার্কিনসন রোগের ওষুধ
প্রামিপেক্সোল, লেভোডোপা
কিছু ধরণের বিষণ্নতার ওষুধ
ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট - ডক্সেপিন, ইমিপ্রামিন
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ওষুধ
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ওষুধযেমন : সিলডেনাফিল, ট্যাডালাফিল। বিশেষ করে নাইট্রোগ্লিসারিনের সাথে সংমিশ্রণে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
অন্যান্য
হঠাৎ অবস্থার পরিবর্তন
হঠাৎ অবস্থার পরিবর্তন হলে বসা থেকে উঠে দাড়ালে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
দীর্ঘ ক্ষণ বিছানায় বিশ্রাম
দীর্ঘ ক্ষণ বিছানায় বিশ্রাম নিলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
চরম তাপমাত্রা
অত্যধিক গরম বা অত্যধিক ঠান্ডা হাইপোটেনশনের কারণ হতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।
বিষণ্ণতা বা বেশি চিন্তা করা
বিষণ্ণতায় ভুগলে বা বেশি চিন্তা করলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ
কম রক্তচাপের কিছু লোকের কোনও লক্ষণ থাকে না। এই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, নিম্ন রক্তচাপ সাধারণত বিপজ্জনক বা উদ্বেগজনক নয়। তবে, এক বা দুটি লক্ষণ দেখা দিলেও সমস্যা হতে পারে।- বমি বমি ভাব বা বমি।
- ঝাপসা দৃষ্টি।
- অস্থিরতা
- ঠান্ডা, ফ্যাকাশে ত্বক
- মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা।
- ঘাড় বা পিঠে ব্যথা।।
- দ্রুত, অগভীর শ্বাস-প্রশ্বাস।
- ক্লান্তি, দুর্বলতা।
- হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত গতিতে হওয়া
- বিভ্রান্তি, অস্বাভাবিক আচরণ।
- মনোযোগ দিতে সমস্যা।
- পেট খারাপ।
- অসুস্থ বোধ করা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
ঘরোয়া প্রতিকার
বেশি লবণ খান
যদিও অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তবে যাদের রক্তচাপ কম তাদের এটি বেশি খেলে উপকার পেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ।কিছু লবণাক্ত খাবার যা রক্তচাপ সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
- জলপাই
- আচার
- সয়া সস
- মশলা, যেমন সরিষা বা কেচাপ
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
অ্যালকোহল পান করার ১২ ঘন্টা পর্যন্ত রক্তচাপ কমাতে পারে, তাই নিম্ন রক্তচাপের লোকেদের অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।
ডাক্তারের সাথে ওষুধ নিয়ে আলোচনা করুন
নিম্ন রক্তচাপ বিভিন্ন ধরণের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:- বিটা-ব্লকার
- ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস
- নারকোটিকস
বেশি পানি পান করুন
বেশি করে পানি পান করলে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মানুষকে পানিশূন্যতা এড়াতেও সাহায্য করে।
ঘন ঘন অল্প অল্প করে খাবার খান
সারাদিন অল্প অল্প করে, কিছুক্ষণ পর পর খাবার খেলে রক্তচাপ বাড়ে। কারণ একবারে, বেশি পরিমাণে খাবার খেলে রক্তচাপ কমে যায়।বসার সময় পা ক্রস করুন
বসার সময় পা ক্রস করে বসুন, এতে ন্যূনতম প্রচেষ্টায় রক্তচাপ বাড়তে পারে।চাপ সৃষ্টিকারী মোজা পরুন
চাপ সৃষ্টিকারী মোজা পায়ের তালুতে এবং পাতায় রক্ত জমতে দেয় না অন্যত্র সরিয়ে দেয়।এর মাধ্যমে ভ্যারিকোজ শিরার চাপ এবং ব্যথা ও উপশম হয়।হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন এড়িয়ে চলুন
ধীরে ধীরে ওঠা বা বসার অভ্যাস করুন। দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন করবেন না। কারণ হৃদপিণ্ড দ্রুত অবস্থার পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পাম্প করতে পারে না। যার ফলে নিম্ন রক্তচাপের লোকেদের মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অনুভূতি তৈরি হয়। রক্তচাপের এই কমে যাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পোশচারাল হাইপোটেনশন বা অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন বলে।ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখা
শোয়ার সময় মাথার নীচে অতিরিক্ত বালিশ রেখে মাথা বিছানা থেকে অন্তত ২০ সেন্টিমিটার উঁচু করুন এতে রক্তচাপ কমার প্রবণতা কমে যাবে।ঠান্ডা পানিতে গোসল
গরম জলের সাথে দীর্ঘক্ষণ থাকা এড়িয়ে চলুন, যেমন গরম শাওয়ার এবং স্পা। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রক্তচাপ কমার প্রবণতা কমে যায়।নিয়মিত ব্যায়াম করা
শরীরের নিম্নাঙ্গের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং মাঝারি ব্যায়াম(সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা,পাহাড়ে উঠা) করলে রক্তরসের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
সুষম খাবার গ্ৰহণ করলে রক্তচাপ কমার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাই খাবারে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। যেমন :- আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি রক্তাল্পতার কারণ, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।বসে পড়া
মাথা ঘোরার অনুভব হলে বসে পড়া। দাঁড়িয়ে থাকা বা উচ্চতা থেকে পড়ে গেলে গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি থাকতে পারে, যেমন: আঘাত, মাথার খুলি ভাঙা বা পাঁজর ভাঙা।
গোসলখানায় বসার ব্যবস্থা
আঘাত এড়াতে, শাওয়ার এবং বাথটাবে ব্যবহারের জন্য নন-স্লিপ চেয়ার বা টুল এর ব্যবস্থা রাখা।
কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ কমানো
যথাসম্ভব কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া ।
খাওয়ার পরে বিশ্রাম
খাওয়ার পরে বিশ্রাম নিলে রক্ত চাপ কমার পরিমাণ কমে যায়।
সতর্কতা
করা উচিত
বসা থেকে দাঁড়ানোর সময় ধীরে ধীরে উঠুন
বিছানা থেকে নামার সময় সাবধান থাকুন - শোয়া থেকে ধীরে ধীরে বসুন। বসা থেকে ধীরে ধীরে দাঁড়ান।অল্প অল্প করে, বার বার খাবার খান - খাওয়ার পর শুয়ে থাকা বা কিছুক্ষণ স্থিরভাবে বসে থাকাও উপকারী হতে পারে
পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন
ব্যায়াম করার সময় বা গরমের দিনে বেশি তরল জাতীয় খাবার খানকরা উচিত নয়
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না বা দাঁড়াবেন না
- ঝুঁকে পড়বেন না বা হঠাৎ ভঙ্গি পরিবর্তন করবেন না
- মদ্যপান করবেন না
- গরম তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ থাকবেন না
- ভারী জিনিসপত্র তুলবেন না
- অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মলত্যাগ করবেন না
নিম্ন রক্তচাপ মানেই ভয়??
না, কারো রক্তচাপ কম থাকার পরও কোন লক্ষণ না থাকলে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
জটিলতা
বেশি সময় ধরে চললে গুরুতর জটিলতা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- পড়ে যেয়ে আঘাত পাওয়া
- শক
- স্ট্রোক
- হার্ট অ্যাটাক
- কিডনি ফেইলর
কখন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত??
হাইপোটেনশন থাকলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া যখন :
- বুকে ব্যথা অনুভব করলে।
- অজ্ঞান হয়ে গেলে।
- হালকা মাথাব্যথার কারণে পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে।
- ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, দ্রুত শ্বাস নেওয়া বা দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঠোঁটের ত্বকে বা নখের নীচে নীল আভার মতো শকের কোন লক্ষণ থাকলে।